cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মো. মামুন অর রশিদ ::
গণমাধ্যম দর্পণের চেয়েও বেশি কিছু। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেই ক্ষান্ত হয় না, চিত্রের প্রেক্ষাপটও তুলে ধরে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গণমাধ্যম নেতিবাচক অবস্থা থেকে উত্তরণের পথও নির্দেশ করে। এজন্য গণমাধ্যমকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আর এই চতুর্থ স্তম্ভকে যাঁরা পরিচালনা করেন কিংবা নেপথ্যে থেকে কাজ করেন, তাঁরাই সাংবাদিক। প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিক কারা? এ বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪ অনুযায়ী, সাংবাদিক হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি প্রিন্ট অথবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। কোনো সম্পাদক, সম্পাদকীয় লেখক, সংবাদ সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, ফিচার লেখক, রিপোর্টার, সংবাদদাতা, কপি টেস্টার, কার্টুনিস্ট, সংবাদ চিত্রগ্রাহক, ক্যালিগ্রাফিস্ট এবং প্রুফ রিডারও সাংবাদিক হিসাবে বিবেচিত হবেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের কল্যাণে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে সাংবাদিকদের বৃহৎ পরিসরে কল্যাণ অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই সিদ্ধান্তের আওতায় বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে গত ৩০শে অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশের ৩৫০ জন সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারের মাঝে কল্যাণ অনুদান হিসাবে ২ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়।
সাংবাদিকদের কল্যাণে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তার কার্যক্রমের পরিসর বাড়িয়ে চলতি অর্থবছর থেকে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের জন্য বৃত্তি প্রদানের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ-সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত সাংবাদিক সন্তানদের এই বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এ কর্মসূচির অধীন গত ৩০শে জানুয়ারি ৩০৫ জন সাংবাদিকের মেধাবী সন্তানদের এককালীন বৃত্তিবাবদ দেওয়া হয়েছে ৫৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিপ্লোমা পর্যায়ের ৭০ জন শিক্ষার্থীকে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, স্নাতক (সম্মান) ও ফাজিল পর্যায়ের ১০৪ জন শিক্ষার্থীকে ২৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা এবং প্রকৌশল ও মেডিক্যাল পর্যায়ের ১১ জন শিক্ষার্থীকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর ফলে সাংবাদিক পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমবে।
একই দিন অর্থাৎ ৩০শে জানুয়ারি ১২৭ জন সাংবাদিক ও মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবারকে অনুদান হিসাবে ৮৯ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ৫ জন সাংবাদিক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকা এবং গণঅভ্যুত্থানে আহত ২৬ জন সাংবাদিককে ১ লক্ষ টাকা করে মোট ২৬ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়। অনুদান ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম জানান, ‘‘প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিকদের অবসরকালীন মাসিক ভাতা প্রদানের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে এবং এ-সংক্রান্ত নীতিমালাও তৈরি করা হচ্ছে।’’ উপদেষ্টার এই ঘোষণা সাংবাদিদের আশ্বান্বিত করেছে। প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিকদের জন্য অবসরকালীন মাসিক ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের ফেলোশিপ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি অর্থবছরেই অন্তত ৫ জন সাংবাদিককে ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। এছাড়া, আসন্ন রমজান মাসে সমস্যাগ্রস্ত ও বেকার সাংবাদিকদের মধ্যে ইফতার সামগ্রীসহ খাদ্য প্যাকেজ উপহার হিসাবে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ অনুদানপ্রাপ্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই কল্যাণ অনুদান প্রদান কার্যক্রম আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কোনো অসুস্থ কিংবা অসচ্ছল সাংবাদিক এবং মৃত সাংবাদিকের পরিবারের সদস্য কল্যাণ অনুদানের জন্য যেকোনো সময় নির্ধারিত ফর্মে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন বিবেচনা করে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কল্যাণ অনুদান মঞ্জুর করবে।
বর্তমান সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছে। ট্রাস্টের নিজস্ব ভবন, নিজস্ব আয়ের উৎস সৃষ্টি ও বহুমুখী কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে এরই মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাংবাদিকদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা। (পিআইডি ফিচার)
লেখক : বিসিএস তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তা এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত।